মাংস খাবেন...মানুষের মাংস...,ভুলবেন না এত স্বাদ
থ্রিলার/ সাইকো থ্রিলার বই বিগত যেকোনো সময় হতে এখন ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় ও এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।অনেক গল্পেই দেখা মিলে নরখাদকের,রবীন্দ্রনাথ সিরিজ এরই উদাহরণ, নাটক বা সিরিজ ঝনরায় আরফান নিশো অভিনীত সিরিজ পুনর্জন্ম ব্যাপক জনপ্রিয়, বর্তমান বাজারে ঘাটলে মানুষের তার মাংস ভক্ষণের সুপ্ত নিষিদ্ধ চিন্তা কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে শত শত বই। হলিউডে এই নিয়ে অসংখ্য মুভি আছে যা বলে আপনার ঘুম হারাম করার ইচ্ছা আমার নেই। সিরিজের জগতে caníbales তো অন্য মাএায় চলে গেছে।
এখন চলুন দেখা যায়, নরখাদকের ইতিহাস
ক্যানিবালিজম (cannibalism) হল মানুষের দ্বারা মানুষের মাংস খাওয়া। একে অ্যানথ্রোপফ্যাজিও (anthropophagy) বলা হয়।
cannibalism এর কোনো একক ইতিহাস নেই। তবে, এটি স্পষ্ট যে মানুষ কয়েক শতাব্দ ধরে একে অপরকে খেয়ে আসছে।
১৫শ শতাব্দীর ইউরোপীয়রা বিশ্বাস করতো, যাকে তারা মমি অ্যাক্স (যে মমি গুঁড়ো করে), তা অনেক রোগ সারাতে পারে। 'তাই তারা এই মমি অ্যাক্স রোগের প্রতিশোধক হিসাবে ব্যাবহার করত
ক্যানিবাল’ শব্দটি এসেছে ক্যানিবাল শব্দটি এসেছে Carib শব্দ থেকে। Carib ছিল ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের একটি আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
স্প্যানিশ ঔপনিবেশিকরা Carib-দেরকে "caniba" বলত, যার অর্থ "মানুষখেকো"।
পরবর্তীতে, "caniba" শব্দটি ইংরেজিতে "cannibal" হিসেবে রূপান্তরিত হয় এবং মানুষখেকোদের বোঝাতে ব্যবহৃত হতে থাকে
ক্রিস্টোফার কলম্বাস 1493 সালে গুয়াডালুপ দ্বীপে পৌঁছান এবং সেখানকার আদিবাসীদের সাথে দেখা করেন।
একটি জার্নালে, কলম্বাস এই আদিবাসীদের "ক্যানিবাল" হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন তারা মানুষের মাংস খায় এবং তাদের বন্দীদের রান্না করে খায়
ইতিহাস জুড়ে ঔষধি এবং সাংস্কৃতিক উভয় কারণেই খাওয়ার অনেক দলিল পাওয়া যায়। ইউরোপে, মানুষ্য রক্ত, লিভার এবং অন্যান্য শরীরের অংশ ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করত
চীনে, পরিবারের সদস্যদের মাংস খাওয়া, বিশেষ করে অসুস্থ বাবা-মাকে সুস্থ করার চেষ্টা করার সময় তাদের পিতামাতা সন্তুষ্ট হয়ে তাদের কে বলত তিনি মারা গেলে যেন তার মাংস খায়, যা তারা পরবর্তীতে আনন্দের সাথে খেত নিউ গিনির মানুষের মধ্যে এই প্রথাটি প্রচলিত ছিল।
উক্ত প্রথার কারণে কুরু নামক এক প্রাণঘাতী রোগের বিস্তার বেড়ে যায়
প্রতিটি মহাদেশে নরখাদক ইতিহাস আছে, এর মধ্যে ঐশীয়দের নিয়ে কিছুটা আলোচনা করি।
এশীয়দের ইতিহাস বলতে গেলে চীনের ইতিহাস সুপ্রাচীন
দুর্ভিক্ষ ও যুদ্ধের সময় খাদ্যের অভাব থেকে শুরু করে, প্রতিশোধ, চিকিৎসা বিশ্বাস এমনকি রান্নাঘরের আনন্দ - এই সব কারণে মানুষ খাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। চীনের ইতিহাসের বিবরণীতে তিনশোরও বেশি নরখেকোদের ঘটনা লিপিবদ্ধ আছে, যার মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই এটিকে না খেয়ে মরে যাওয়াকে এড়ানোর কৌশল হিসেবে ব্যাবহার করা হতো এছাড়া তারা শত্রুদের মাংস খেয়ে প্রতিশোধ নিত। মানুষের মাংস বিলাসবহুল ভোজে পরিবেশন করা হত এবং কেউ কেউ এটিকে বিদেশী মিষ্টান্ন হিসেবে বিবেচনা করত।চীনে নরখেকোদের ঘটনা ২০ শতাব্দীতেও অব্যাহত থাকে।
সাংস্কৃতিক বিপ্লব (১৯৬৬-১৯৭৬) হওয়ার পর হতে এটাকে ঘৃণিত কাজ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
মানুষখেকো বা নরখাদক এখনো পৃথিবীর অসভ্য সমাজে যে আছে এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সভ্যসভাজেও থাকাটাও অস্বাভাবিক নয়।
0 Comments